পাপাই সরকার, শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪, পূর্ব বর্ধমান: সরলতার সুযোগ নিয়ে ফের যৌন হেনস্তার শিকার হলো এক দশম শ্রেণীর ছাত্রী। ওই নাবালিকা পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর বাসিন্দা। ঘটনাটিতে নির্যাতিতা যে স্কুলে পড়তো সেই স্কুলেরই এক প্যারা টিচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
এই ঘটনার পর গ্রেপ্তার হয়েছেন স্কুলের প্যারা টিচার, নাদন ঘাটের গঙ্গা নন্দপুরের বাসিন্দা ভবতোষ বিশ্বাস (৪৭)। ওই নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, প্রায় তিন মাস আগে ওই নাবালিকাকে উচ্চ শিক্ষা দেবে বলে ২৭ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল কিনে দেয় অভিযুক্ত প্যারা টিচার এবং তাকে বলেন ওই মোবাইল দিয়ে তাকে প্রতিদিন ভিডিও কলিং এ ক্লাস করাবে। মোবাইলটি একটি বইয়ের ভেতর লুকিয়েও রাখতে বলেন তিনি। এরপর মেয়েটির সাথে মাঝে মধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষক ভিডিও কলিং করতেন এবং বিভিন্ন যৌন উত্তেজক ছবি দেখাতেন বলে অভিযোগ।
এরপর প্রায় ২০ দিন আগে তাকে একটি পরিতক্ত পেপার মিলের নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাকে সিঁদুর পরিয়ে দেয় এবং তার সাথে অশালীন আচরণ করেন বলে অভিযোগ। মেয়েটির মোবাইলে সে সব ছবিও পাওয়া গিয়েছে দাবি পরিবারের।
মেয়েটি প্রথমে ভয়ে বাড়িতে না জানালেও পরে পরিবারকে সবকিছু খুলে বললে পরিবারের পক্ষ থেকে স্কুলে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তিন চার দিন পেরিয়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা নেয় নি। তখন বাধ্য হয়ে গতকাল নাদন ঘাট থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আজ অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আজ তাকে কালনা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। মেয়েটির জবানবন্দি এখনো হয়নি শারীরিক পরীক্ষাও এখনো হয়নি। এগুলি পরবর্তীকালে হবে। এমনটাই জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী মলয় পাঁজা। এখন দেখার বিষয় দোষী কি আদৌ শাস্তি পাবে! প্রশ্ন থেকেই যায়।