নিজস্ব প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট ২০২৪, দুর্গাপুর: আবার দুর্গাপুরে অভিনব আর্থিক প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের হেফাজতে থাকা এক গ্রাহকের চেক বইয়ে জাল স্বাক্ষর করে দেড় লক্ষ টাকা গায়েব করা হয়েছে, যা শহরজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, ব্যাংকের হেফাজতে থাকা চেক বই থেকে কীভাবে গ্রাহকের স্বাক্ষর জাল করে টাকা তোলা হলো? এ ঘটনায় দুর্গাপুর সাইবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে, তবে প্রতারিত গ্রাহকরা এখন তাঁদের কষ্টার্জিত টাকা হারিয়ে দিশেহারা।
সমস্যা সমাধানের বদলে উল্টো ব্যাংকে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে প্রতারিত গ্রাহককে ব্যাংক কর্মীদের দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয়। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী রবীন্দ্রনাথ তেওয়ারি বেশ কয়েক বছর আগে তাঁর মেয়ে স্বাগতা তেওয়ারিকে নিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের নিচে থাকা এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে একটি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলেন। সেখানে তিনি জীবনের কষ্টার্জিত টাকা সঞ্চিত রাখতেন। সম্প্রতি, চেক বই শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি মাসখানেক আগে নতুন চেক বইয়ের জন্য আবেদন করেন। সপ্তাহখানেক আগে নতুন চেক বইটি তাঁর বাড়ির ঠিকানায় পাঠানো হলেও বাড়িতে না থাকায় সেটি ফের ব্যাংকে ফিরে যায়। সেখান থেকেই শুরু হয় প্রতারণার অভিনব কৌশল।
অভিযোগ উঠেছে, নতুন চেক বই নিতে ব্যাংকে গেলে রবীন্দ্রনাথ তেওয়ারি ও তাঁর মেয়ে স্বাগতা দেবীকে জানানো হয় যে, তারা চেক বইটি ইতিমধ্যে নিয়ে গেছেন। সন্দেহ হওয়ায় রবীন্দ্রনাথ বাবু ব্যাংক বই আপডেট করতে গিয়ে দেখেন, তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে দেড় লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে গেছে। প্রশ্ন উঠেছে, ব্যাংকের হেফাজতে থাকা চেক বই থেকে কীভাবে জাল স্বাক্ষর করে টাকা তোলা হলো? সমস্যার সমাধানের বদলে ব্যাংকের সিসি টিভি ফুটেজে অভিযুক্ত একজনকে শনাক্ত করার পরও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাঁদের সাথে দুর্ব্যবহার করে এবং চুরির অপবাদ দিয়ে বের করে দেয়। দেড় লক্ষ টাকা চেক জালিয়াতির মাধ্যমে তুলে নেওয়ার ঘটনায় দুর্গাপুরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে, কিন্তু প্রতারিত গ্রাহক এখন দিশেহারা।