নিজস্ব প্রতিনিধি, সোমবার, ১৯ আগস্ট ২০২৪, রানীগঞ্জ: রানীগঞ্জের কাকরডাঙ্গা ও ডামালিয়া এলাকার হাজারো গ্রামবাসী দীর্ঘদিনের বন্ধ থাকা প্রাচীন রাস্তা পুনরায় চালু করার দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। এগারা পঞ্চায়েতের দুই সদস্যের নেতৃত্বে, তারা অবিলম্বে রাস্তা চালুর দাবি জানায়। গ্রামবাসীরা নুনিয়া নদীর ওপর সিধু কানু ব্রিজ ঘিরে ধরে সমস্ত যানবাহন আটকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে দীর্ঘদিনের প্রাচীন যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, লাগোয়া এলাকার হাড়ভাঙ্গা ব্রিজের বেহাল অবস্থার পরেও রাজ্য সরকার কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ব্রিজ তৈরি করেছে। তবে এই ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে এবং কাকরডাঙ্গা ও এগারা যাওয়ার ব্রিটিশ আমলের বাইপাস রাস্তা বন্ধ করার পরিকল্পনার বিরোধিতা করছেন স্থানীয়রা। বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন এলাকার অসংখ্য মহিলা ও আদিবাসী জনজাতির মানুষজন।
এলাকাবাসীদের মূল দাবি হলো, এই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াতের পর কাকরডাঙ্গা গ্রামের সংকীর্ণ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়ে। এর ফলে অনেক যানবাহনকে বিপাকে পড়তে হয়। তারা অভিযোগ করেন, ইংরেজ আমলের পিচঢালা রাস্তা ধীরে ধীরে বন্ধ করে দিয়ে ব্রিজের বাইপাস রাস্তাটিকে অকেজো করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তাদের মতে, এই রাস্তা দিয়ে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষ প্রায় পাঁচ কিলোমিটার কম দূরত্বে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে।
তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে তিনি এই রাস্তাকে সচল হতে দিচ্ছেন না। পঞ্চায়েত সদস্যসহ স্থানীয় বাসিন্দারা এই অভিযোগ তুলেছেন। তাদের দাবি, এলাকার অনেকেই এই রাস্তা তৈরির জন্য জমি দান করেছেন, যাতে যাতায়াত সহজ হয়। তবুও, কোনো অদৃশ্য কারণে রাস্তা বন্ধ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যা স্থানীয়রা কখনোই বাস্তবায়িত হতে দেবে না। তারা আরও জানিয়েছে, প্রয়োজনে এই দাবিতে তারা দীর্ঘ অনশনেও বসতে প্রস্তুত।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে পরে বিনোদ নুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তারা সবসময় এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে আছেন এবং তাদের সুযোগ-সুবিধা ও উন্নয়নের জন্য সচেষ্ট। পুরনো রাস্তার বিষয়ে তিনি অবগত নন, তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে আগামীতে এ বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।