নিজস্ব প্রতিনিধি, শুক্রবার, ২৩ আগস্ট ২০২৪, পাণ্ডবেশ্বর: শুক্রবার হরিপুর গ্রামের বাসিন্দারা ঘরবাড়ি সুরক্ষা ও পুনর্বাসনের দাবিতে ইসিএল-এর কেন্দা এরিয়া অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভ শেষে তারা অফিসের আধিকারিকদের হাতে একটি ডেপুটেশন তুলে দেন। সকাল ১১টা নাগাদ, প্রায় এক হাজার পুরুষ ও মহিলা “হরিপুর গ্রাম বাঁচাও কমিটি”র ব্যানার নিয়ে কেন্দা এরিয়া অফিসের গেটে জমায়েত হন এবং প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলতে থাকে।
হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপীনাথ নাগ এবং গ্রাম বাঁচাও কমিটির সম্পাদক কিশোর মণ্ডল জানান, হরিপুর এলাকা খনি এলাকার ধসপ্রবণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে প্রায় দশ হাজার মানুষ বসবাস করেন। এলাকায় শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, অঙ্গনওয়াড়ি, এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বেশ কয়েকটি স্কুল রয়েছে। ধসের ঘটনা প্রায়শই ঘটে, এবং সাম্প্রতিককালে দুটি পুকুর ধসে পড়ে মাছসহ জল তলিয়ে গেছে। অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের সামনেও ধসের ফলে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। একই কারণে বহু মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। দীর্ঘদিন ধরে বসতি এলাকায় সুরক্ষিত পরিবেশ ও পুনর্বাসনের দাবি জানানো হলেও, ইসিএল কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন।
গোপীনাথ বাবু বলেন, ধসের সমস্যার কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ জমে রয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তিনি উল্লেখ করেন, টানা ঘেরাও বিক্ষোভের পাশাপাশি ইসিএল-এর কয়লা পরিবহন এবং হরিপুর গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করার মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হতে পারেন। বিক্ষোভ শেষে, “গ্রাম বাঁচাও” কমিটির পক্ষ থেকে কেন্দা এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার শ্রী আনন্দের হাতে একটি ডেপুটেশন তুলে দেওয়া হয়। তবে এই বিক্ষোভ এবং ডেপুটেশনের বিষয়ে শ্রী আনন্দ সংবাদ মাধ্যমকে কোনো মন্তব্য করেননি।