পাপাই সরকার, বুধবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বর্ধমান: আর. জি. কর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাক্তার সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গ্রেপ্তার করার পরেই স্বাস্থ্য ভবন থেকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে তাকে। এতদিন পর্যন্ত যে সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করা তো দুরস্থান, আর. জি. কর মেডিকেল থেকে পদত্যাগের চার ঘন্টার মধ্যেই ন্যাশনাল মেডিকেলে নিয়োগ দিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। সেই সন্দীপ ঘোষকেই এবার চাপে পড়ে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হল স্বাস্থ্য দপ্তর।
ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ডাক্তার বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে বর্ধমান মেডিকেল থেকে বদলি করে দেওয়া হলো কাকদ্বীপে। বুধবার ডাক্তার বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ তুলেছিলেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পড়ুয়ারা। একাধিকবার দাদাগিরির অভিযোগ রয়েছে ডাক্তার বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে তার ট্রান্সফার হলেও সম্প্রতি তার একটি অডিও কল ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে, যেখানে জুনিয়র চিকিৎসককে থ্রেট দেওয়া হচ্ছে।
যদিও ডাক্তার বিরূপাক্ষ বিশ্বাস নিজের পক্ষে সাফাই দিয়েছিলেন যে সেই অডিও তার নয়। কিন্তু কোন কিছুই সাফাই চাপের মুখে কাজে লাগলো না। থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত ডাক্তার বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে বর্ধমান মেডিকেল থেকে স্বাস্থ্য দপ্তর বদলি করল কাকদ্বীপে। বিরুপাক্ষ বিশ্বাসকে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে ট্রান্সফার অর্ডার থাকলেও তিনি কর্মরতই ছিলেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তারপর হঠাৎ গতকাল স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে তার রিলিজ অর্ডার এলো।
অতএব বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ছাত্রদের বক্তব্য, দেড় বছর পর তার রিলিজ অর্ডার এলো। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ছাত্ররা বর্ধমান মেডিকেল কলেজ কাউন্সিলের কাছে। পাশাপাশি এই বিরুপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের এক ক্যান্টিন থেকে টাকা তছরূপের অভিযোগ তোলেন মেডিকেল কলেজের আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা।
এই বিষয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এস আর সিট আছে ৬৬টা, তারমধ্যে সবাইকে ছেরে দিয়ে ৬ থেকে ৭টা ছিলো। মাঝে আমরা এই ৬ থেকে ৭ জনকে উইথ পারমিশনেই আমরা রেখে দিয়েছিলাম কেনোনা সব ডিপার্টমেন্ট চালানোর জন্য।কেনোনা আমাদের অনেক ডিপার্টমেন্ট ফ্যাকেল্টি নেই। অনেক অসুবিধার মধ্যে আমরা ছিলাম, সেই হিসাবেই কিছুজনকে রেখে দেওয়া হয়েছিলো। সুতরাং কালকে যখন স্বাস্থ্য ভবন থেকে বলেছে, আমরা তড়িঘড়ি বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে রিলিজ করে দিয়েছি, এখনো ৬ জন আছে। আবারও আমি স্বাস্থ্য ভবন থেকে পারমিশন চাইবো যদি ওদের ৬ জনকে রেখে দেওয়া যায়। কারন এই মুহূর্তে ছারলে আমাদের একটু অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবন যদি বলে ৬ জনকে রিলিস করে দেওয়ার করে দেবো আমরা”।