নিজস্ব প্রতিনিধি, শনিবার ১৫ জুন ২০২৪, রানীগঞ্জ: গ্রামের উন্নয়নের নামে তোলা টাকা এবং অতিরিক্ত বালি বোঝাই লরির চলাচল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জামুড়িয়ার বীরকুলটি গ্রামের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। গ্রামের রাস্তা ভেঙে যাওয়ার অভিযোগ তুলে তারা বালি বোঝাই লরিগুলিকে রাস্তা দিয়ে যেতে না দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
শনিবারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। বিক্ষোভের সময় বীরকুলটি বুথ সভাপতি উৎপল রুইদাসের বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, হিজলগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বীরকুলটির উন্নয়নের খাতে বালির গাড়ি থেকে যে টাকা সংগ্রহ করা হত, সেই টাকার সঠিক হিসাব না দিয়ে উৎপল রুইদাস তছরুপ করেছেন এবং এখন তিনি নানা উপায়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছেন। এসব দাবি নিয়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে একদল গ্রামবাসী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
যার বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে, সেই উৎপল রুইদাস অবশ্য দাবি করেছেন, সমস্ত অভিযোগই মিথ্যে। তিনি বলেছেন, তারা শুধু চান যাতে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া অজয় নদীর কদম্বখন্ডি ঘাটের বালি, গ্রামের ভিতর দিয়ে না নিয়ে গিয়ে বিকল্প পথে পরিবহন করা হয়। তারা বৈধভাবে চলা বালির উত্তোলনের বিরোধী নন, বরং চান যাতে এই রাস্তায় বালি পড়ে এলাকার মানুষজনকে বিপজ্জনক ভাবে যাতায়াত করতে না হয়।
তবে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী দাবি করেছেন যে বুথ সভাপতি উৎপল রুইদাস শুধুমাত্র বালি পরিবহনের টাকা তছরুপ করেননি, বরং শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত গ্রামীণদের প্রাপ্য সামগ্রীও গ্রামবাসীদের মধ্যে বিলি না করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। যদিও জামুরিয়া দুই নম্বর ব্লকের সভাপতি সিদ্ধার্থ রানা জানিয়েছেন, এই সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, সেখানে শুধুমাত্র বিকল্প পথে বালি নিয়ে যাওয়ার দাবি করা হয়েছে এবং অন্য কোনো অন্যায় অবরোধ করা হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান সূত্র বের করা হবে বলেও জানান তিনি। জামুড়িয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামবাসীদের দুর্ভোগের কারণগুলি লক্ষ্য করে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।