পাপাই সরকার, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বৈঠকে উপস্থিত জেলার পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা। সেই বৈঠক শেষ করেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সরকার যেমন করছে, করছে। পুলিশও অনেক জায়গায় কমিউনিটি কিচেন করেছে। আমাদের দলের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেখানে যেখানে বন্যা হয়েছে, আমরা সেখানে সেখানে সাধ্যমতো শুকনো খাবারের প্যাকেট দিচ্ছি। কেউ যেন বঞ্চিত না হয়, তা আমাদের দেখতে হবে। আমি বিধায়কদের বলেছি, তাঁদের কোটার যে টাকা আছে, তা দিয়ে গ্রামীণ রাস্তাগুলো যতটা পারবেন করুন। আমাদের দলের সাংসদদের কাছেও একই অনুরোধ করব”।
তিনি আরো বলেন, “আমরা এখন ২৪ ঘণ্টা বন্যা পরিস্থিতির উপর নজর রাখি। সকলের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আমরা অনেকগুলো বন্যা সেন্টার তৈরি করেছি। কিন্তু তাতেও বাধ মানছে না, বাঁধ ভাঙছে। দরকার হলে স্কুলগুলোকে যাতে কাজে লাগাতে পারি, তা দেখতে হবে। পূর্ত দফতরকে বলা হয়েছে যে সব রাস্তা ভেঙেছে তা সমীক্ষা করে দেখতে। ডিসেম্বরে ১১ লক্ষ পাকা বাড়ি করার জন্য সরকার টাকা ছাড়বে। পঞ্চায়েত দফতরকেও বলা হয়েছে জল কমলেই যেন সমীক্ষার কাজ শেষ করে”।
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা জলমগ্ন। তার উপর ডিভিসি জল ছাড়ায় পরিস্থিতি আরও জোরালো হয়। দামোদর, ময়ূরাক্ষী, অজয়-সহ রাজ্যের একাধিক নদীর জল উপচে পড়েছে। বহু রাস্তাঘাটের উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। ভেঙেছে সেতু, বিপর্যস্ত জনজীবন। গত সপ্তাহেই বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন মমতা। কথা বলেছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। এই পরিস্থিতি জন্য ডিভিসিকেই দায়ী করেছেন তিনি। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতিকে ‘ম্যান মেড’ বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও এই নিয়ে দু’বার চিঠিও লিখেছেন মমতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসনকে সব রকম বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।