নিজস্ব প্রতিনিধি, শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪, দুর্গাপুর: বুলডোজার চালানো যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, পুনর্বাসন ছাড়া কোনো উচ্ছেদ করা যাবে না, জানালেন সাংসদ কীর্তি আজাদ। শুক্রবার দুর্গাপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি হুঁশিয়ারি দেন কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন শিল্প সংস্থার কর্তৃপক্ষকে। তিনি বলেন, যদি বুলডোজার চালানো হয়, তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেসের এই সাংসদ আরও জানান, “আমি ইতিমধ্যেই ডিভিসি ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছি।”
সাংসদ কীর্তি আজাদ সম্প্রসারণ এবং আধুনিকীকরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “উদ্যোগ ভালো। কিন্তু কোনো পুনর্বাসন ছাড়াই উচ্ছেদ করতে হলে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া হবে কারণ, এ নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত বহু রায় দিয়েছে।” সদ্য নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রথমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসে কীর্তি আজাদ এই হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “উচ্ছেদ নিয়ে কোনো তাড়াহুড়ো চলবে না। পুনর্বাসনের বিকল্প ব্যবস্থা করার পরেই এটা করতে হবে।”
কীর্তি আজাদ কার্যত আসন্ন পুরনিগম ভোটের আগে কারখানার জমিতে বসবাসরত বস্তির বাসিন্দাদের কাছে প্রথম বার্তা দিলেন যে, পুনর্বাসন ছাড়া কোনোভাবেই উচ্ছেদ করতে দেওয়া হবে না।
দূর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বন্ধ কারখানা নিয়ে সংসদে সরব হবেন কীর্তি আজাদ
দুর্গাপুরের কেন্দ্রীয় সরকারের কারখানাগুলির বিষয়ে সংসদে কথা বলবেন বলে জানান সাংসদ কীর্তি আজাদ। কারও নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেসের এই সাংসদ বলেন, “উনি তো এখন আর তানাশাহী চালাতে পারবেন না। উনি এখন তো মজবুর আছেন।” তিনি আরও বলেন, “সংসদে যখনই বলার সুযোগ পাবো, তখনই বন্ধ কারখানা খোলার বিষয়ে বলবো। এমএএমসি, ডিভিসি এবং দামোদরে ড্রেজিং নিয়ে কথা বলবো।”
দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের অন্দরে কোনো অন্তর্ঘাত হয়েছে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে সাংসদ কীর্তি আজাদ তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, “নেতা কর্মীদের দোষ দেবো না। গতবার ৭৬ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল, এবার ৬৮ হাজার ভোট ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কর্মীরা পরিশ্রম করেছেন, তাই এটা সম্ভব হয়েছে। আর সব বুথে জয় পাওয়া যাবে এটা ভুল ধারণা।”
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে কীর্তি আজাদের সঙ্গে থাকা রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “ফল নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা হচ্ছে। কেন কম ভোট পেলো দল, কোন এলাকায় কেন মানুষ আমাদেরকে ভোট দিলেন না তা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।” পঞ্চায়েত মন্ত্রী আরও বলেন, “প্রত্যেকটি ভোটের ধরন আলাদা। তাই সেইভাবেই দেখা হবে লোকসভা নির্বাচনের ফলকে।”