পোষ্ট বর্ধমান ওয়েবডেস্ক, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪, কালনা: মাঠে পাট, তিল এবং বিভিন্ন শাকসবজি রয়েছে। পূর্বস্থলী ২, কালনা ২, কাটোয়া সহ জেলার অনেক এলাকায় আম, লিচু ও কলার বাগানও আছে। রেমালের আঘাত থেকে ফসল রক্ষা করতে কৃষি দফতর নানা পরামর্শ দিয়েছে এবং লিফলেট বিলি করা হচ্ছে।
কৃষি দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রেমালের প্রভাবে ঝড় ও দমকা হাওয়ার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ২৭ মে পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তারা পরামর্শ দিয়েছেন যে, মাঠের কাজ এই সময়ে বন্ধ রাখতে হবে। ফসল যদি তোলা বা কাটার উপযোগী হয়, তা দ্রুত কেটে খামারে তুলতে হবে। ভারী বৃষ্টির ফলে জমিতে জল জমতে পারে, সেজন্য নালা কেটে জল বের করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। শসা, বরবটি, লাউ, ঝিঙে, লাফার মতো সবজি মাচায় চাষ হয়, তাই মাচা শক্ত রাখতে হবে। পানের বরজও শক্ত করে বেঁধে রাখতে হবে। দুর্যোগ কাটলে জমিতে ছত্রাকনাশক ছড়াতে হবে।
কালনার চাষি ফিরোজ শেখ বলেন, “তীব্র গরমের কারণে আনাজের উৎপাদন ভাল হয়নি। ঝড়ে সব তছনছ হলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।” পূর্বস্থলী ২ ব্লকের আমচাষি সুজয় ঘোষ বলেন, “প্রায় ৯০ শতাংশ গাছে এ বার আম ফলেনি। অল্প যা আম ফলেছে, তার কিছুটা রাখা হয়েছে জামাইষষ্ঠীর বাজার ধরার জন্য। সেটাও নষ্ট হলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।”
বৃষ্টির অভাবে এবার এখনও আমনের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করতে পারেননি চাষিরা। বৃষ্টি হলে এই কাজ শুরু হবে। ভারী বৃষ্টির ফলে পুকুর, নালা ও ছোট জলাশয়গুলোতে জল জমবে। এতে জুলাই মাসে পাট পচানোর জন্য জল পেতে অসুবিধা হবে না।
প্রশাসন থেকে সতর্কবার্তা দিয়ে খেয়াঘাটগুলিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় লঞ্চ ও নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী তোলা যাবে না।
কালনা খেয়াঘাটের পক্ষ থেকে জয়গোপাল ভট্টাচার্য বলেছেন, “পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ভারী দুর্যোগ হলে প্রয়োজনে পারাপার বন্ধ রাখা হবে।” কালনা পুরসভার উপ-পুরপ্রধান তপন পোড়েল জানিয়েছেন, পুরসভার তরফে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং টোল ফ্রি নম্বর জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় পুরসভা একটি দলও গঠন করেছে।