নিজস্ব প্রতিনিধি, মঙ্গলবার, ০৬ আগস্ট ২০২৪, গুসকরা: পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় সংস্কৃত সপ্তাহ’ উদযাপন করেছে, যা মঙ্গলবার নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। শিক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশে ৩১ জুলাই শুরু হওয়া এই সপ্তাহের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংস্কৃত ভাষার প্রতি আগ্রহ বাড়ানো। অধ্যক্ষ ড. সুদীপ চ্যাটার্জ্জীর উৎসাহ এবং বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সমীরণ রায় ও অন্যান্য অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রীদের সহযোগিতায় এই উদ্যোগটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
এই অনুষ্ঠানে প্রবীণ অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ এবং অধ্যাপক ড. চিরঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় সংস্কৃত ভাষার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষত, ড. বন্দ্যোপাধ্যায় চতুর্থ দিনের আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে সংস্কৃত ভাষার মাধ্যমে জীবিকা অর্জনের বহুমুখী সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তিনি একের পর এক উদাহরণ দিয়ে প্রমাণ করেন যে সংস্কৃত ভাষা শুধুমাত্র পুরোহিতের কাজে সীমাবদ্ধ নয়। এছাড়া, ওইদিন সোমা খাঁ ও তৃষা দাসের গীতার শ্লোকের উপর পরিবেশিত নৃত্য দর্শকদের মুগ্ধ করে।
গুসকরা মহাবিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘জাতীয় সংস্কৃত সপ্তাহ’-এর মূল লক্ষ্য ছিল ছাত্রছাত্রীদের সংস্কৃত ভাষায় উৎসাহ বাড়ানো। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আয়োজন করা হয় প্রবন্ধ রচনা, শ্লোক ও স্তোত্র পাঠ, পোস্টার তৈরি, সংস্কৃত সঙ্গীত, একক নৃত্য পরিবেশনা এবং ক্যুইজ প্রতিযোগিতার। এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল কোয়েল, পৃথ্বিরাজ, রিয়া, সুস্মিতা শ্লোকে; দেবব্রতা, বৃষ্টি, অঙ্কিতা, পিঙ্কি, তনয়া, প্রিয়া, সোমা নৃত্যে; এবং দিয়া, সঞ্চিতা সহ মোট ১১ জন ক্যুইজে।
ষষ্ঠ দিনের সমাপনী অনুষ্ঠানে সফল প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অধ্যক্ষ ড. সুদীপ চ্যাটার্জ্জী, অধ্যাপক সমীরণ রায়সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা। প্রথমবারের জন্য এত বড় একটি অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজন করায় সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক ও ছাত্রছাত্রীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন অধ্যক্ষ। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই অভিজ্ঞতা ছাত্রছাত্রীরা তাদের পড়াশোনায় কাজে লাগাবে, এবং তবেই এই ধরনের অনুষ্ঠান তার প্রকৃত মূল্যায়ন পাবে।