নিজস্ব প্রতিনিধি, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, আসানসোল: আসানসোল আর্টিস্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে আসানসোল রবীন্দ্র ভবনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে “বাংলা সঙ্গীত মেলা”। এই তিন দিনব্যাপী সঙ্গীত মেলা শুরু হবে ২১ জুন থেকে এবং চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে সঙ্গীতের অনুষ্ঠান।
এই মেলায় আসানসোল শহর এবং শিল্পাঞ্চলের আশেপাশের এলাকার শিল্পীরা ছাড়াও কলকাতা ও বাইরের শিল্পীরাও অংশগ্রহণ করবেন। মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোলের জিটি রোডের পুরনো রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম মোড়ে পার্বতী হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে আসানসোল আর্টিস্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির চিফ প্যাটার্ন শচীন রায় এই তথ্যগুলি জানান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়, সন্দীপ কুমার ঘোষ ও মলয় সরকার।
শচীন রায় জানান, ২১, ২২ ও ২৩ জুন আসানসোল রবীন্দ্র ভবনে নর্থ পয়েন্ট স্কুলের উদ্যোগে বাংলা সঙ্গীত মেলার আয়োজন করা হবে। এই মেলায় আসানসোল এবং আশেপাশের এলাকার শিল্পীদের পাশাপাশি কলকাতা এবং দুর্গাপুরের শিল্পীরাও অংশ নেবেন। প্রায় দুই শতাধিক সঙ্গীত শিল্পী এতে অংশগ্রহণ করবেন, যার মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ আসানসোল ও আশেপাশের এলাকার। মাত্র ৫ শতাংশ শিল্পী অন্যান্য স্থান থেকে আসবেন।
তিনি বলেন, “আসানসোল এবং আশেপাশের এলাকার শিল্পীদের একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়াই আমাদের সংস্থার উদ্দেশ্য। এখনও পর্যন্ত এমন একটি প্ল্যাটফর্ম পাননি তারা, আমরা তাদেরকে সমর্থন দিয়ে পাশে থাকতে চাই”।
“লকডাউনের সময় আমরা দেখেছি, শিল্পীদের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে তাদের সংসার চালানোও কঠিন হয়ে পড়েছিল। এমনকি অনেককে তাদের বাদ্যযন্ত্র পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছিল। সেই সময় ভাবা হয়, এমন একটি সংগঠন থাকা উচিত যেখানে স্থানীয় শিল্পীরা স্বস্তি পেতে পারেন। এই চিন্তা মাথায় রেখে গঠন করা হয় আসানসোল আর্টিস্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি”।
তিনি জানান, “গত দুই বছর ধরে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে এবং এবারের মেলা তৃতীয় বছরের। এবারের সঙ্গীত মেলায় উপস্থিত থাকবেন বাংলার কবি শ্রীজাত এবং গৌতম ঘোষালের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়, মলয় সরকার এবং সন্দীপ কুমার ঘোষ বলেন, যখন গানের অডিশনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তখন ৫০০ জনেরও বেশি শিল্পী তাদের গান পাঠিয়েছিলেন। এর মধ্যে গুরুগ্রামের একজন শিল্পীও তার গান পাঠিয়েছিলেন, যদিও ব্যক্তিগত কিছু কারণে তিনি আসতে পারবেন না। এর থেকেই বোঝা যায় যে বাংলা সঙ্গীত মেলা তিন বছরে কতটা জনপ্রিয় হয়েছে”। তিন দিনের এই সঙ্গীত মেলায় কোন প্রবেশ মূল্য থাকছে না বলে উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে।