নিজস্ব প্রতিনিধি, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, আসানসোল: হোদলা গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ গভীর জঙ্গল থেকে একাধিক গাছ কাটার অভিযোগ তুলেছেন। বনদপ্তরের কর্মীদের সামনেই গভীর জঙ্গলের ভেতরে তারা তুমুল প্রতিবাদ করেন। বুধবার সকালে আদিবাসী ২২ মৌজার লো এবং খেরোয়াল মহলের তরফে হদলা জঙ্গলে এই বিক্ষোভ হয়। আসানসোলের মাইথন সংলগ্ন এলাকায় গভীর বনাঞ্চল থেকে বিনা অনুমতিতে বিভিন্ন জংলি গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে। কেন এসব গাছ কাটা হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন বনদপ্তরের আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভে নামেন।
আসানসোলের হদলা অঞ্চলে ঘন জঙ্গল রয়েছে এবং এই জঙ্গলের আশেপাশে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। তারা দীর্ঘদিন ধরে গাছ কাটার অভিযোগ জানিয়ে আসছেন। শেষ পর্যন্ত বনদপ্তরের আধিকারিকদের ডেকে তারা গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করে যেসব এলাকায় গাছ কাটা হচ্ছে সেইসব এলাকায় গিয়ে কার্যত বনদপ্তরের আধিকারিকদের সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের অভিযোগ, এক শ্রেণীর জমি মাফিয়া জোরপূর্বক বনদপ্তরের জমি দখল করে চোরের মত গাছ কেটে জমি ঘেরাও করছে। এদিন তারা যখন বনদপ্তরের কর্মীদের নিয়ে জঙ্গলে গাছ কাটা দেখতে আসেন, তখন ঘটনাস্থলে ধরা পড়ে রাজীব মুর্মূ নামক এক ব্যক্তি।
তিনি জানান, একজন ব্যবসায়ী এই কাজ করাচ্ছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন বিমল গোরাই ও জাকির আনসারী। তারা এই অঞ্চলে পার্ক ও কটেজ তৈরি করার জন্য এই জায়গা ক্রয় করেছেন এবং তিনি তাদের আদেশে কাজ দেখাশোনা করছেন। ঘটনাস্থলে বনদপ্তরের কর্মীদের পাশাপাশি কল্যাণেশ্বরী ফাঁড়ির পুলিশও উপস্থিত ছিলেন।
তবে এই বিষয়ে ব্যবসায়ী চিত্ত মাজি জানান, জমি তার নিজস্ব এবং তিনি গাছ কাটেননি। তবে যেসব ঝোপঝাড় রয়েছে সেগুলি পরিষ্কার করা হচ্ছে। এছাড়া, তিনি পরিবেশ রক্ষার জন্য ৩০০০ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেছেন এবং সেখানে সুন্দর এক পরিবেশ তৈরি করা হবে যেখানে পার্ক এবং কটেজ থাকবে।